মোটা চাল, আটা, ময়দা, পেঁয়াজে দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চালে ১-২ টাকা বাড়তি গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে ডিলাররা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।
ফলে বাড়তি দামে কিনত হচ্ছে ভোজ্যতেল।
এদিকে সরকার নির্ধারিত দামে পাওয়া যাচ্ছে না চিনি। বর্তমানে এক কেজি চিনি কিনতে ক্রেতাকে গুণতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা।
শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দামে ক্রেতারা চাহিদার তুলনায় পণ্য কম কিনছেন, তেমনি বিক্রেতাদেরও কেনাবেচা কমেছে।
জানা যায়, গত তিনদিনে মিল পর্যায়ে মোটা চাল প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। খুচরা বাজারে খোলা চালের দাম বেড়েছে ১-২ টাকা। প্রতি কেজি পায়জাম ও গুটি স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৬ টাকায়। বিআর-২৮ জাতের চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়।
দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমার এক মাসের ব্যবধানে আবার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এবার তারা লিটারে ১৫ টাকা বাড়াতে চান। গত মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেওয়ার পর এরই মধ্যে বাজারে তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। ফলে আগের নির্ধারিত দামে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও কিনতে হচ্ছে আরও বেশি দামে।
এ বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা জানান, এখনই ডিলাররা তেলের দাম বেশি নেওয়া শুরু করেছে। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ড্রাম (২০৪ লিটার) সয়াবিন ও পাম তেলে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেড়েছে।
চিনির দাম এখনো কমেনি। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। অথচ প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ৯৫ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। খুচরা বাজারে বেড়েছে খোলা আটা-ময়দার দামও। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। ফলে কেজি প্রতি বেড়েছে ৫ টাকা করে।
একইভাবে ভালো মানের ময়দা ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডালের দামও গত তিন-চার দিনে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। দেশি প্রতি কেজি মশুর ডাল ১২৫ থেকে ১৩০ এবং আমদানি করা ডাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আরও ৫ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৮০ টাকা কেজি। ৮০ টাকা বা তার কিছু কমবেশি দামের সবজির তালিকায় রয়েছে কাকরোল, কচুর লতি, উস্তা, করলা, ঝিঙা ও শিম। বেগুন, পটল, চিচিঙ্গা, মুলা ও একপিস ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে ৬০ টাকার মধ্যে। কম দামে শুধু পেঁপে, যা ৪০ টাকা কেজি। আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে।